তৌফিক,বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(বশেমুরবিপ্রবি) এসিসিই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ‘ড. মো: কামরুজ্জামান স্যার-কে’ অশ্রাব্য ও কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করে গালাগালি ও স্যারের পিতামাতাকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও আজীবন স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে।
সোমবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত মানবন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষক এবং এসিসিই বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
মানবন্ধনে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ( ইএসডি) বিভাগের সভাপতি ড. মো. রাশেদুজ্জামান । এসময় তিনি বলেন, যার জন্য আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি এটি সত্যি অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা যারা বশেমুরবিপ্রবিতে আছি সকলেই আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের সন্তানের মত দেখি এবং তাদের যেকোন বিপদে তাদের পাশে আছে।
তিনি আরো বলেন, আমি দেখেছি কামরুজ্জামান স্যার শিক্ষার্থীদের সাথে আরো বেশি শিক্ষার্থীবান্ধব সেখানে ওনাকে নিয়ে বা তার মৃত মা কে নিয়ে এমন কথা কোনভাবেই আমাদের কাছে গ্রহনযোগ্য নয়। প্রশাসনের কাছে দাবি থাকবে যারা এ ধরনের কাজ করেছে বা করিয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সর্ম্পক বিভাগের সভাপতি মাহাবুবা উদ্দিন বলেন, একজন মানুষ হিসেবে আমাদের যে কারো ক্ষেত্রেই (শিক্ষক অথবা শিক্ষার্থী) কারো বাবা মা কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যই খারাপ এ ধরনের বিষয় যেন আর কারোর সাথে না হয় নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করে ভবিষ্যতে যেন এমন না হয় সে ব্যপারে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করা হল।
এসময় রসায়ন বিভাগের সভাপতি নাসির উদ্দিন বলেন, এভাবে কোন মানুষকে নিয়ে কটাক্ষ এবং গালিগালাজ করা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছে কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়।যেসকল শিক্ষার্থী এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিচারের আওতায় এনে ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা না ঘটে তার দিকে লক্ষ রাখতে বলেন প্রশাসনকে।
এধরণের ঘটনা যে আর পুনরাবৃত্ত না হয় সেজন্য সুনির্দিষ্ট তদন্ত পূর্বক জড়িতদের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ফায়েকুজ্জামান মিয়া।
এছাড়াও মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন ইংরেজি বিভাগের সভাপতি মো.আশিকুজ্জামান ভূঁইয়া,ফার্মেসি বিভাগের সভাইয়া ড. মোহাম্মদ আলি ও এসিসিই বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।
Leave a Reply