মোঃ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ
গণ টেলিভিশন।
১৬৬২ কোটি টাকায় নির্মিত হতে যাচ্ছে যশোর নাভারন -সাতক্ষীরা রেলপথ।
ঢাকার সঙ্গে সাতক্ষীরা জেলার রেল যোগাযোগ না থাকায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সাতক্ষীরাবাসীর দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ঘোষণা করেছিলেন সাতক্ষীরায় রেলপথ স্থাপন করা হবে তারই ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। সাতক্ষীরা জেলায় প্রায় ২২ লাখ মানুষের বসবাস। এ জেলা থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সড়কপথ। ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন কে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা, হোয়াইট গোল্ড চিংড়ি রপ্তানির সুবিধার্থে এবং ভারত-বাংলাদেশ আমদানি-রপ্তানি (ভোমরা স্থলবন্দর) বাণিজ্য অর্থনৈতিকভাবে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এসব কারণে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে একমাত্র সড়কপথটি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
বর্তমান সরকার সাতক্ষীরাবাসীর কথা চিন্তা করে যশোরের শার্শার নাভারন থেকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ গ্যারেজ পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করার পরিকল্পনা করছে। প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৬৬২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩৩২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। কন্সট্রাকশন অব নিউ বিজি ট্র্যাক ফর্ম নাভারন টু সাতক্ষীরা প্রকল্পের আওতায় এক হাজার ৩২৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা চীনের কাছে থেকে ঋণ চাওয়া হয়েছে।
প্রকল্পটির মেয়াদকাল ধরা হয়েছে চলতি বছর থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। নাভারন থেকে মুন্সীগঞ্জ গ্যারেজ পর্যন্ত রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ৯৮ দশমিক ৪২ কিলোমিটার। ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দের নতুন প্রকল্প তালিকায় এটা রাখা হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ট্রেনে চড়ে যাওয়া যাবে মুন্সীগঞ্জ পয়েন্টে। সেখান থেকে একটা নদী পার হলেই সুন্দরবন। সুন্দরবনের উদ্ভিদ ও প্রাণী বৈচিত্রের কথা ভেবেই সুন্দরবনের ৫ কিলোমিটার দূরত্বের আগেই ট্রেন স্টেশন শেষ হবে।
নাভারন থেকে মুন্সীগঞ্জ গ্যারেজ পর্যন্ত থাকবে আটটি স্টেশন। এগুলো হলো- নাভারন, বাগআচড়া, কলারোয়া, সাতক্ষীরা, পারুলিয়া, কালীগঞ্জ, শ্যামনগর ও মুন্সীগঞ্জ গ্যারেজ। একইসঙ্গে রেলপথের সেতু নির্মিত হবে বাঁকাল, লাবণ্যবতী, সাপমারা খাল ও কাকশিয়ালী নদীর ওপর।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধান আ ন ম আজিজুল হক বলেন, সুন্দরবনের সঙ্গে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করার জন্য এই প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে। নাভারন থেকে সাতক্ষীরা হয়ে মুন্সীগঞ্জ গ্যারেজ পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করা গেলে অর্থনৈতিকভাবে এলাকাগুলো শক্তিশালী হবে।
তিনি বলেন, নতুন রেলপথ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। রেলপথটি নির্মাণে চীনসহ কয়েকটি উন্নয়ন সহযোগী খোঁজা হচ্ছে। সুবিধা মতো যার সঙ্গে মিলবে তাকেই এই প্রকল্পের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে নেয়া হবে।
Leave a Reply