বজ্রপাতে মৃত্যুরোধে চাই সচেতনতা’
বজ্রপাতে মৃত্যুরোধে চাই সচেতনতা’

বজ্রপাতে মৃত্যুরোধে চাই সচেতনতা’

Oplus_131072

বাংলাদেশে প্রতিবছর বজ্রপাতে অসংখ্য মানুষ মারা যান। বিশেষ করে বর্ষার আগমনী মৌসুমে—বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ ও আষাঢ় মাসে বজ্রপাতের সংখ্যা বেড়ে যায়। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বজ্রপাতের তীব্রতা ও বিস্তার বাড়ছে। বজ্রপাতে মারা যাওয়া মানুষের একটি বড় অংশ গ্রামীণ কৃষক ও শ্রমজীবী, যারা মাঠে কাজ করতে গিয়ে বা খোলা জায়গায় অবস্থান করে প্রাণ হারান। অথচ সামান্য সচেতনতাই পারে এসব প্রাণঘাতী ঘটনা রোধ করতে।
বজ্রপাতের সময় খোলা মাঠ, উঁচু গাছের নিচে, ধাতব বস্তু বা বৈদ্যুতিক খুঁটির কাছে অবস্থান করা ঝুঁকিপূর্ণ। বজ্রপাতের সময় নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়া এবং বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বন্ধ রাখা উচিত। অনেকেই বজ্রপাতের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, যেটি ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাছাড়া, গবাদিপশু বাজমির জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে অনেক কৃষক মাঠে অবস্থান করেন, যা তাদের মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়।সরকার বজ্রপাতকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে মাঠপর্যায়ে এখনো পর্যাপ্ত সচেতনতা তৈরি হয়নি। গ্রামীণ জনপদে স্কুল-কলেজে বজ্রপাত বিষয়ে সচেতনতা ক্লাস, পোস্টার, মাইকিং ও স্থানীয় ইমাম, শিক্ষক ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে প্রচারণা জোরদার করা দরকার।
প্রযুক্তিগতভাবেও কিছু উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। যেমন, বজ্রপাতের সম্ভাব্য সময় ও এলাকা সম্পর্কে আগাম বার্তা মোবাইল অ্যাপ ও এসএমএসের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে জানানো। বজ্রপাতপ্রবণ এলাকায় বজ্রনিরোধক দণ্ড বা ‘লাইটনিং অ্যারেস্টর’ স্থাপন করা যেতে পারে। গ্রামের বিদ্যালয়গুলোকে ‘বজ্রপাত নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র’ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
এ ছাড়া, গবাদিপশুর জন্য আলাদা নিরাপদ স্থাপনা গড়ে তোলা জরুরি, যাতে কৃষকেরা মাঠে না গিয়ে তাদের প্রাণ বাঁচাতে পারে। পাশাপাশি কৃষকদের সচেতন করে তুলতে কৃষি অফিসগুলোর মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণ চালানো দরকার।
বজ্রপাত থেকে মৃত্যু রোধে আমাদের প্রথম পদক্ষেপ হতে হবে সচেতনতা। শুধু সরকারি উদ্যোগ নয়, পরিবার ও সমাজকেও এ বিষয়ে দায়িত্বশীল হতে হবে। বজ্রপাত প্রতিরোধ সম্ভব নয়, কিন্তু সঠিক জ্ঞান ও প্রস্তুতি নিয়ে এর ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।
সুতরাং বজ্রপাতকে অবহেলা না করে এটিকে একটি বাস্তব ও প্রাণঘাতী দুর্যোগ হিসেবে মেনে নিতে হবে। প্রশাসন, গণমাধ্যম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় জনগণ—সবার সম্মিলিত উদ্যোগেই বজ্রপাতে অকালমৃত্যুর মিছিল থামানো সম্ভব। সচেতনতা, সতর্কতা ও সম্মিলিত উদ্যোগই পারে এই প্রাণঘাতী দুর্যোগের মোকাবিলা করতে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

 

গোবিপ্রবি প্রতিনিধি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নির্বাচনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতির প্রার্থীতার বিরুদ্ধে রিট আবেদনকারী নারী শিক্ষার্থীকে শিবির নেতা কর্তৃক প্রকাশ্যে গণধর্ষণের হুমকি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেত্রীদের হেনস্থা এবং শিবিরের নেতাকর্মীদের দ্বারা সারাদেশে নারী শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে অব্যাহত সাইবার বুলিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোবিপ্রবি) ছাত্রদল।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ছাত্রদলের সভাপতি দুর্জয় শুভ ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বিদ্যুতের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের  লিপুস ক্যান্টিন থেকে বিক্ষোভ  মিছিল  শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের সামনে নেতাকর্মীদের বক্তৃতার মাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচী শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে আনুমানিক হাজারের অধিক নেতাকর্মীর উপস্থিতি দেখ যায়।
এসময়  বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের  সিনিয়র সহ-সভাপতি রাকিবুল ইসলাম,  সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার গালিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক খন্দকার,   যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহাজান ইসলাম, মাসুদ রানা, আরিফুল ইসলাম, নূরজামাল, আল রোহান, বাতেন সরকার, শফিকুল ইসলাম, জাহিদ কামাল,  দপ্তর সম্পাদক তর্কি ইয়াছির,  সহ সকল  পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভ মিছিলে স্লোগান দেয়, ❝নারী অধিকার রক্ষা করতে, ছাত্রদল সজাগ থাকবে। দিল্লি গেছে স্বৈরাচার, পিন্ডি যাবে রাজাকার। শিবির আর স্বৈরাচার, মিলেমিশে একাকার। নারী হেনস্থার আস্তানা, এ বাংলায় হবে না।❞
বিক্ষোভ মিছিল শেষে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বিদ্যুৎ বলেন, নারীদের অধিকার নিয়ে কথা বলে যে সংগঠন, তা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি ৫ আগস্টের পর একটি গুপ্ত সংগঠনের আবির্ভাব হয়েছে, যারা গত ১৭ বছর স্বৈরাচারের সাথে মিলিত হয়ে কাজ চালিয়েছে। সেই কারণে তারা তাদের কমিটি প্রকাশ করে না। বর্তমানে তারা সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে নারীদের হেনস্তা করছে এবং গুপ্তভাবে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করার চেষ্টা করছে। আমি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, জামাত-শিবির গুপ্তভাবে রাজনীতি করে তাদের ফায়দা হাসিল করতে পারবে না।
ছাত্রদলের সভাপতি দুর্জয় শুভ বলেন, পরিচয় গোপন করে এমন চরিত্রহীনা রাজনীতি বন্ধ করার আহ্বান থাকবে আপনাদের প্রতি (গুপ্ত বাহিনীর)। পাশাপাশি, যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ (৭১) বিশ্বাস করে না, তারা বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারে না। আপনারা গুপ্তভাবে রাজনীতি করবেন না, প্রকাশ্যে আসুন। আপনাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেও আপনারা ফেক আইডি দিয়ে প্রতিহত করেন। এই ফেক আইডির রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। আমি ছাত্রদলের রাজনীতি করি, আমার পরিচয় আছে। আপনিও রাজনীতি করলে আপনার পরিচয় প্রকাশ্যে আনুন। আমরা সবাই ২৪ জুলাইয়ের আন্দোলনে একসাথে কাজ করেছি। আবার একসাথে থেকে আগামী বাংলাদেশ গড়ব। তবে আপনাদের প্রতি একটা অনুরোধ রাখবো, সাইবার বুলিং ও অনলাইন রাজনীতি থেকে সরে আসুন।

নারী নিপীড়নের গোবিপ্রবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ 

শাহাজান, গোবিপ্রবি:

‘গনতন্ত্রের মা‘  বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে  গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয়  মসজিদে ১৫ আগস্ট  ২০২৫ (শুক্রবার)   আসরবাদ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এর আয়োজন করে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও  প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু  কামনা করে দোয়া করা হয়।

দোয়া ও মিলাদ  মাহফিলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি দূর্জয় শুভ, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বিদ্যুৎ সহ অনান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীীবৃন্দ ও মুসল্লিগন।

গোবিপ্রবি ছাত্রদল সভাপতি দূর্জয় শুভ জানান, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা। তিনিই জাতিকে একটি সত্যিকার গণতন্ত্রের শক্তভিত্তির ওপরে দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন। আনতে চেয়েছিলেন অর্থনৈতিক মুক্তি। দিতে চেয়েছিলেন জাতিকে সম্মান আর গৌরব। তার সততা, নিষ্ঠা, গভীর দেশপ্রেম, পরিশ্রমপ্রিয়তা, নেতৃত্বের দৃঢ়তা প্রভৃতি গুণাবলী এ দেশের গণমানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করেছিল। বেগম খালেদা জিয়া সেই ধারাকে এগিয়ে নেন এবং বিএনপি অত্যন্ত জনপ্রিয় দলে পরিণত হয়। খালেদা জিয়ার সময়ে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার ‘ইমার্জিং টাইগার’ খেতাবে ভূষিত হয়। তিনি একাধারে স্বৈরশাসকের আতঙ্ক, গণতন্ত্রের ধারক। আজ এই মহীয়সী নারীর শুভ জন্মদিনে তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এবং তার সুস্বাস্থ্য দীর্ঘায়ু কামনা করছি। দেশ বাসীর কাছে আপোষহীন জননেত্রীর জন্যে দোয়া চাই।

বেগম খালেদা জিয়া শুধু একজন রাজনীতিবিদ নন, তিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতীক। দেশের মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান জাতি চিরকাল মনে রাখবে।”

খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকীতে গোবিপ্রবি  ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল

র‌্যাবের চৌকস অভিযানে জীপসহ প্রায় ১১ হাজার ইয়াবার চালান আটক

জামালপুর হামলা পাল্টা হামলার মধ্য দিয়ে জেলার সানন্দবাড়ী তে থমথমে অবস্থা বিরাজমান।

error: আপনি নিউজ চুরি করার চেষ্টা করছেন। বিশেষ প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন ০১৭৬৭৪৪৪৩৩৩
%d