শিশুদের বিদ্যালয়ে ধরে রাখায় গুরুত্ব দিন
শিশুদের বিদ্যালয়ে ধরে রাখায় গুরুত্ব দিন

শিশুদের বিদ্যালয়ে ধরে রাখায় গুরুত্ব দিন

Oplus_131072

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘দৃষ্টিনন্দন’ ভবন নির্মাণ নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। রাজধানী ঢাকায় একটি প্রকল্পের আওতায় প্রায় সাড়ে তিন শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলা হচ্ছে। শিশুদের জন্য আরও সুন্দর, নিরাপদ ও আধুনিক শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে কোটি কোটি টাকার এই প্রকল্প সময়োপযোগী। কিন্তু প্রকল্পের ধীরগতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে স্কুলগুলোতে শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে। ফলে অনেক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে। বিষয়টি হতাশাজনক।
হাজারীবাগ বালিকা ও বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদাহরণ আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় পরিকল্পনার ঘাটতি কতটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিদ্যালয়ের কাজ শুরুর আগেই শিক্ষার্থীদের কাছাকাছি একটি স্থানে স্থানান্তরের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, এক কিলোমিটার দূরে পাঠানো হচ্ছে শিশুদের, যাদের বেশির ভাগই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। যাতায়াতে সময় ও অর্থ ব্যয় হচ্ছে এবং অনেক অভিভাবক বাধ্য হচ্ছেন সন্তানদের স্কুল থেকে তুলে নিতে। পাশাপাশি বা কাছাকাছি স্কুলগুলোতে একসঙ্গে কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত একেবারে অপরিণামদর্শী, তা বলতেই হয়।
শুধু হাজারীবাগ নয়, একাধিক এলাকায় একই ধরনের পরিস্থিতি। যেসব স্কুলে নতুন ভবন নির্মাণ শুরু হয়েছে, সেখানে বিকল্প শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য ভাড়া করা ভবনের ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। একদিকে সরকারি অর্থে কোটি কোটি টাকার অবকাঠামো উন্নয়ন, অন্যদিকে কয়েক লাখ টাকা খরচ করে শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী বিকল্পের চিন্তা না থাকা—এটি প্রকল্প নিয়ে পরিকল্পনার সুস্পষ্ট অভাবেরই প্রতিফলন। এর ফলে শিশুর শিক্ষার অধিকার হরণের ঘটনা ঘটছে, সেটিও প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের সঙ্গে শুরু থেকে যুক্ত সবার কাছেই গুরুত্বহীন থেকে গেছে। এটি কোনোভাবেই মানা যায় না।
শিক্ষাবিদেরাও বলছেন, ভবন নির্মাণের আগে ভালো করে পরিকল্পনা গ্রহণ, এলাকা অনুযায়ী বিকল্প স্থান নির্ধারণ এবং প্রয়োজনে পৃথক বাজেট বরাদ্দের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া উচিত ছিল।
আমাদের আহ্বান, এখনো যেসব বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি, সেসব ক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। অস্থায়ীভাবে ভাড়া করা ভবনে পাঠদান চালু রাখা হোক। একই এলাকায় একাধিক বিদ্যালয়ে একসঙ্গে কাজ শুরু না করে ধাপে ধাপে করা হোক, যাতে শিক্ষার প্রবাহ বিঘ্নিত না হয়।
শিশুরা যেন বিদ্যালয়ের দূরত্ব ও যাতায়াতের খরচের কারণে শিক্ষা থেকে ছিটকে না পড়ে—এই ন্যূনতম নিশ্চয়তা সরকারকে দিতেই হবে। কারণ, একটি দৃষ্টিনন্দন ভবনের চেয়ে একটি শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে ধরে রাখা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

 

গোবিপ্রবি প্রতিনিধি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নির্বাচনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতির প্রার্থীতার বিরুদ্ধে রিট আবেদনকারী নারী শিক্ষার্থীকে শিবির নেতা কর্তৃক প্রকাশ্যে গণধর্ষণের হুমকি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেত্রীদের হেনস্থা এবং শিবিরের নেতাকর্মীদের দ্বারা সারাদেশে নারী শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে অব্যাহত সাইবার বুলিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোবিপ্রবি) ছাত্রদল।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ছাত্রদলের সভাপতি দুর্জয় শুভ ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বিদ্যুতের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের  লিপুস ক্যান্টিন থেকে বিক্ষোভ  মিছিল  শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের সামনে নেতাকর্মীদের বক্তৃতার মাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচী শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে আনুমানিক হাজারের অধিক নেতাকর্মীর উপস্থিতি দেখ যায়।
এসময়  বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের  সিনিয়র সহ-সভাপতি রাকিবুল ইসলাম,  সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার গালিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক খন্দকার,   যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহাজান ইসলাম, মাসুদ রানা, আরিফুল ইসলাম, নূরজামাল, আল রোহান, বাতেন সরকার, শফিকুল ইসলাম, জাহিদ কামাল,  দপ্তর সম্পাদক তর্কি ইয়াছির,  সহ সকল  পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভ মিছিলে স্লোগান দেয়, ❝নারী অধিকার রক্ষা করতে, ছাত্রদল সজাগ থাকবে। দিল্লি গেছে স্বৈরাচার, পিন্ডি যাবে রাজাকার। শিবির আর স্বৈরাচার, মিলেমিশে একাকার। নারী হেনস্থার আস্তানা, এ বাংলায় হবে না।❞
বিক্ষোভ মিছিল শেষে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বিদ্যুৎ বলেন, নারীদের অধিকার নিয়ে কথা বলে যে সংগঠন, তা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি ৫ আগস্টের পর একটি গুপ্ত সংগঠনের আবির্ভাব হয়েছে, যারা গত ১৭ বছর স্বৈরাচারের সাথে মিলিত হয়ে কাজ চালিয়েছে। সেই কারণে তারা তাদের কমিটি প্রকাশ করে না। বর্তমানে তারা সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে নারীদের হেনস্তা করছে এবং গুপ্তভাবে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করার চেষ্টা করছে। আমি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, জামাত-শিবির গুপ্তভাবে রাজনীতি করে তাদের ফায়দা হাসিল করতে পারবে না।
ছাত্রদলের সভাপতি দুর্জয় শুভ বলেন, পরিচয় গোপন করে এমন চরিত্রহীনা রাজনীতি বন্ধ করার আহ্বান থাকবে আপনাদের প্রতি (গুপ্ত বাহিনীর)। পাশাপাশি, যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ (৭১) বিশ্বাস করে না, তারা বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারে না। আপনারা গুপ্তভাবে রাজনীতি করবেন না, প্রকাশ্যে আসুন। আপনাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেও আপনারা ফেক আইডি দিয়ে প্রতিহত করেন। এই ফেক আইডির রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। আমি ছাত্রদলের রাজনীতি করি, আমার পরিচয় আছে। আপনিও রাজনীতি করলে আপনার পরিচয় প্রকাশ্যে আনুন। আমরা সবাই ২৪ জুলাইয়ের আন্দোলনে একসাথে কাজ করেছি। আবার একসাথে থেকে আগামী বাংলাদেশ গড়ব। তবে আপনাদের প্রতি একটা অনুরোধ রাখবো, সাইবার বুলিং ও অনলাইন রাজনীতি থেকে সরে আসুন।

নারী নিপীড়নের গোবিপ্রবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ 

শাহাজান, গোবিপ্রবি:

‘গনতন্ত্রের মা‘  বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে  গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয়  মসজিদে ১৫ আগস্ট  ২০২৫ (শুক্রবার)   আসরবাদ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এর আয়োজন করে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও  প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু  কামনা করে দোয়া করা হয়।

দোয়া ও মিলাদ  মাহফিলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি দূর্জয় শুভ, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বিদ্যুৎ সহ অনান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীীবৃন্দ ও মুসল্লিগন।

গোবিপ্রবি ছাত্রদল সভাপতি দূর্জয় শুভ জানান, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা। তিনিই জাতিকে একটি সত্যিকার গণতন্ত্রের শক্তভিত্তির ওপরে দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন। আনতে চেয়েছিলেন অর্থনৈতিক মুক্তি। দিতে চেয়েছিলেন জাতিকে সম্মান আর গৌরব। তার সততা, নিষ্ঠা, গভীর দেশপ্রেম, পরিশ্রমপ্রিয়তা, নেতৃত্বের দৃঢ়তা প্রভৃতি গুণাবলী এ দেশের গণমানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করেছিল। বেগম খালেদা জিয়া সেই ধারাকে এগিয়ে নেন এবং বিএনপি অত্যন্ত জনপ্রিয় দলে পরিণত হয়। খালেদা জিয়ার সময়ে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার ‘ইমার্জিং টাইগার’ খেতাবে ভূষিত হয়। তিনি একাধারে স্বৈরশাসকের আতঙ্ক, গণতন্ত্রের ধারক। আজ এই মহীয়সী নারীর শুভ জন্মদিনে তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এবং তার সুস্বাস্থ্য দীর্ঘায়ু কামনা করছি। দেশ বাসীর কাছে আপোষহীন জননেত্রীর জন্যে দোয়া চাই।

বেগম খালেদা জিয়া শুধু একজন রাজনীতিবিদ নন, তিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতীক। দেশের মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান জাতি চিরকাল মনে রাখবে।”

খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকীতে গোবিপ্রবি  ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল

র‌্যাবের চৌকস অভিযানে জীপসহ প্রায় ১১ হাজার ইয়াবার চালান আটক

জামালপুর হামলা পাল্টা হামলার মধ্য দিয়ে জেলার সানন্দবাড়ী তে থমথমে অবস্থা বিরাজমান।

error: আপনি নিউজ চুরি করার চেষ্টা করছেন। বিশেষ প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন ০১৭৬৭৪৪৪৩৩৩
%d