সাজ্জাদ হোসেন সাজু(বিশেষ প্রতিনিধি)
ফরিদপুরঃ জেলায় মঙ্গলবার পাওয়া প্রতিবেদনে ২৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯০ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৫ দশমিক ১৬ শতাংশ।
ফরিদপুর করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব সূত্র জানিয়েছে, গতকাল সোমবার করোনা শনাক্তের হার ছিল ৩৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ। গত রোববার শনাক্তের হার ছিল ৫৫ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। শনিবার শনাক্তের হার ছিল ৪৫ দশমিক ১৬ শতাংশ। শুক্রবার শনাক্তের হার ছিল ২৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এ থেকে জেলায় করোনা পরিস্থিতির যে উন্নতি হয়নি, তা পরিষ্কার হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসককে লকডাউন দেওয়ার সুপারিশ করবেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন। তবে বাস্তবায়নের সুবিধা চিন্তা করে পুরো জেলাকে লকডাউন না করে অধিকতর খারাপ অবস্থা বিবেচনায় ফরিদপুর পৌরসভাকে পুরোপুরি কঠোর লকডাউনের আওতায় আনার কথা বলেছেন LPপুলিশ সুপার।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, ফরিদপুর সদর, বোয়ালমারী, চরভদ্রাসন, ভাঙ্গা ও সালথায় করোনার পরিস্থিতি শঙ্কাজনক। তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে ফরিদপুর পৌরসভাসহ ফরিদপুর সদর।
এই পরিস্থিতিতে লকডাউন দেওয়ার ব্যাপারে ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক বেলাল হোসেনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী প্রতি জেলার করোনা নিয়ন্ত্রণ কমিটিই এ ব্যাপারে সর্বময় ক্ষমতা নেওয়ার অধিকারী।
সিভিল সার্জন বলেন, জেলা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক অতুল সরকারকে লকডাউন দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আজ বুধবার আবেদনপত্র দেওয়া হবে।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, ফরিদপুরকে লকডাউনের আওতায় আনতে হবে। তবে পুরো জেলা লকডাউন দেওয়া হলে তা কার্যকর করা কষ্টসাধ্য। তবে খারাপ অবস্থা বিবেচনায় ফরিদপুর পৌরসভাকে কঠোর লকডাউনের আওতায় আনতে হবে। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের জন্য এ লকডাউন বলবৎ করা যেতে পারে। ওই সময় হাসপাতালের কাছে কয়েকটি ওষুধের দোকান ছাড়া ব্যাংক-বিমাসহ সবকিছু বন্ধ রাখা জরুরি। লকডাউনে কাউকে ঘরের বাইরে যেতে দেওয়া হবে না। প্রস্তুতির জন্য দুই-তিন দিন মাইকিং করে এ ঘোষণা দেওয়া যেতে পারে।
Leave a Reply