অভিন্ন সমৃদ্ধির লক্ষ্যে কোভিড-১৯ পরবর্তী বৈশ্বিক সার্বিক পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা চাই : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
অভিন্ন সমৃদ্ধির লক্ষ্যে কোভিড-১৯ পরবর্তী বৈশ্বিক সার্বিক পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা চাই : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

অভিন্ন সমৃদ্ধির লক্ষ্যে কোভিড-১৯ পরবর্তী বৈশ্বিক সার্বিক পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা চাই : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

ডেস্ক রিপোর্ট।

কোভিড -১৯ মহামারিকে বিশ্ব সংহতির জন্য লিটমাস টেস্ট হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, বিশ্বকে ব্যবসা, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ পরবর্তী অবস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য সকলের উন্নয়নে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই সামগ্রিক বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারীর পরে টেকসই এবং ন্যায়সঙ্গত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আমাদের অংশীদারিত্বমূলক সমৃদ্ধির জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং সামগ্রিক পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা প্রয়োজন, আমাদের এখন সামগ্রিক বৈশি^ক প্রচেষ্টার প্রয়োজন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ কাতার ইকোনমিক ফোরাম’র ভাচুর্য়াল বৈঠকে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় কোভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে এবং সামগিগ্রক উন্নয়নের জন্য ছয় দফা প্রস্তাব পেশকালে একথা বলেন।

‘আগামীর জন্য নতুন দিগন্ত’ শীর্ষক শ্লোগান নিয়ে সোমবার শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী সম্মেলনটিতে শতাধিক বিশ্ব নেতৃবৃন্দ, কুটনিতিক, শিক্ষাবিদ এবং ব্যবসায়ীবৃন্দ ভিডিও বার্তা প্রদান করছেন।

শেখ হাসিনা তার ভাষণে, আন্তর্জাতিক সমৃদ্ধির জন্য বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের মাধ্যমে কোভিড -১৯ মহামারীর প্রভাব নিরসনে অবিলম্বে সম্মিলিত ও সামগ্রিক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য পূরণের জন্য উচ্চাভিলাষী জলবায়ু পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য ও রফতানি আয়ের পুনরুজ্জীবন ঘটাতে লক্ষ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সহায়তার পরামর্শ দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশগুলিকে অবশ্যই ডিজিটাল বিভাজন বন্ধ করার জন্য বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের সার্থকতা অর্জন করতে হবে এবং মহামারীজনিত কারণে যে কোনও সম্ভাব্য চ্যুতি প্রতিরোধে গ্রাজুয়েশন প্রাপ্ত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য নতুন আন্তর্জাতিক সহায়তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

তিনি অভিমত দেন যে এই অঞ্চলে আয়োজক দেশ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠী হিসাবে তুলে ধরা অভিবাসী শ্রমিকদের পুনরায় একত্রীকরণ পরিকল্পনায় অবদান রাখতে হবে।
বিশ্ব সংহতির জন্য কোভিড-১৯ মহামারীকে লিটমাস টেষ্ট আখ্যা দিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, যেহেতু এতে ইতোমধ্যে লাখ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে এবং অর্থনীতিকে ক্ষতবিক্ষত করেছে তাই ‘এজেন্ডা ২০৩০’,‘প্যারিস চুক্তি’ এবং ‘আদ্দিস আবাবা এ্যাকশন এজেন্ডা’ সংকট উত্তোরণের ব্লু প্রিন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে।

কাতার ইকোনমিক ফোরাম আমাদের সুযোগগুলি সনাক্ত করার জন্য এবং এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য ধারণা এবং সমাধানগুলি ভাগ করে নিতে এবং ভবিষ্যতের সংকটগুলি দক্ষতার সাথে মোকাবিলার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করেছে।

শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে আবারও বলেন যে কোভিড -১৯ টি ভ্যাকসিনকে বিশ্বব্যাপী পাবলিক পণ্য হিসেবে ঘোষণা করতে হবে এবং উন্নয়নশীল দেশ ও এলডিসি যাদের সক্ষমতা রয়েছে তাদের ভ্যাকসিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া উচিত।

মহামারীবিরোধী লড়াইয়ের বাংলাদেশের ব্যবস্থাগুলি সম্পর্কে তিনি বলেন যে সরকার জীবন ও জীবিকার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে কেননা তাঁর সরকার এ পর্যন্ত ১৫ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারী থাকা সত্ত্বেও ২০২০-২০২১ সালে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছেছে, যা বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ।

তাঁর সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রুপকল্প দেশটিকে কোভিড-১৯ পরবর্তী নতুন বাণিজ্য এবং কাজের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সহযোগিতা করেছে,বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী কাতার এবং অন্যান্য মধ্য-প্রাচ্যের দেশগুলির সরকারী ও বেসরকারী বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিশেষ করে অবকাঠামো খাতে,আইসিটি, নবায়ণযোগ্য জ¦ালানি, হালকা প্রকৌশল, ওষুধ শিল্প এবং কৃষিজাত পণ্য খাতে চমৎকার বিনিয়োগের সুযোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানান। কেননা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকার বিস্তৃত পরিসরে প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বিশ্বজুড়ে পপুলিজম, বিশ্বায়ন-বিরোধী মনোভাব এবং অর্থনৈতিক সংরক্ষনবাদের বিরুদ্ধে বহুত্ববাদকে শক্তিশালী করার জন্য একসাথে দাঁড়ানোর ওপর ও গুরুত্বারোপ করেছেন।

তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে দেশগুলোয় এবং বিশ্বের সকল জায়গায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা দরকার কারণ এগুলি অর্থনৈতিক কার্যক্রম সম্প্রসারণের পূর্বশর্ত।

ছবি:
আলতাফ হোসেন

কপি পেস্ট।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

শাহাজান ইসলাম, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি:

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে উপ-নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধিকারের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষক থেকে নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ড. বশির উদ্দিন । ১৩ই মার্চ বুধবার বিকাল ৫ টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান ভুইয়া, নির্বাচন কমিশনার হুমায়ূন কবির ও ইমদাদুল হক শরীফ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন ড. বশির উদ্দিন।

গত ৩১ জানুয়ারি,২০২৪ সালে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শিক্ষক ঐক্য (নীলদল)থেকে হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ফায়েকুজ্জামান মিয়া। এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধিকারের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষক পরিষদের সাদ্দাম হোসেন।

অনানুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ১ ফেব্রুয়ারী,২০২৪ থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়য়ে কর্মরত না থাকায় শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্রের ২ নং ধারা অনুযায়ী সদস্য পদ হারানোর ফলে সাধারণ সম্পাদক পদ শূণ্য ঘোষিত হয়।

নির্বাচন কমিশনারের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ২০২৪ গত ০৫/০৩/২০২৪ একটি সাধারন সভায় শিক্ষকদের সর্বসম্মতিক্রমে (সাধারণ সম্পাদক পদ) উপ- নির্বাচন- ২০২৪ নিমিত্তে নির্বাচন কমিশন গঠন করে। নির্বাচন কমিশন গঠনতন্ত্র অনুসারে ০৬/০৩/২০২৪ তফসিল ঘোষণা করার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ থেকে ১২ মার্চ ২০২৪ এ কমিশনের নিকট উক্ত পদে ২টি মনোনয়ন পত্র দাখিল করা হয়। উল্লেখ্য যে, একজন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় সমিতির গঠনতন্ত্র মোতাবেক (৮ এর জ), আর কোন প্রতিযোগী (একাধিক) প্রার্থী না থাকায় নিম্নলিখিত বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধিকার চেতনায় বিশ্বাসী (নীল দলের) প্রার্থীর মনোনয়ন বহাল থাকায় কমিশন তাঁকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করে। উক্ত ধারা অনুযায়ী যেহেতু সাধারন সম্পাদক পদে আর ভোট অনুষ্ঠানের প্রয়োজন নেই, ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধিকার চেতনায় বিশ্বাসী (নীল দলের)’ প্রার্থী ড. বশির উদ্দিন কে সাধারন সম্পাদক পদে প্রাথমিকভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হলো।”

শিক্ষক সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ড.বশির উদ্দিন বলেন, শিক্ষকদের ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবি আদায়ের সংগ্রামে সবসময় সোচ্চার থাকবো,বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে সকল শিক্ষককে সাথে নিয়ে প্রশাসনের জন্য প্রেসার গ্রুপ হয়ে নিরালসভাবে কাজ করে যাবো,সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ছড়িয়ে দিয়ে একটি শিক্ষার্থীবান্ধব বিশ্বমানের মডেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে সচেষ্ট থাকবো।

উল্লেখ্য যে, ১ বছর মেয়াদে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দ্বায়িত্বে ড. বশির উদ্দিন

র‌্যাবের চৌকস অভিযানে জীপসহ প্রায় ১১ হাজার ইয়াবার চালান আটক

জামালপুর হামলা পাল্টা হামলার মধ্য দিয়ে জেলার সানন্দবাড়ী তে থমথমে অবস্থা বিরাজমান।

error: আপনি নিউজ চুরি করার চেষ্টা করছেন। বিশেষ প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন ০১৭৬৭৪৪৪৩৩৩
%d