মোঃসাইদুল ইসলাম হেলাল
নওগাঁ প্রতিনিধি
আসন্ন ঈদুল আজহা সামনে রেখে গবাদি পশু পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন নওগাঁর খামারিরা। তারা অতি যত্নে খামারে কোরবানির গবাদি পশু প্রস্তুত করে তুলছেন মুনাফা লাভের আশায়। এবার নওগাঁয় ৩ লাখ ৮০ হাজার ৪১৫টি কোরবানির পশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন এ অঞ্চলের খামারিরা। গত বছর কোরবানিতে এর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮২টি। সেই হিসেবে এবার প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার ৪৩৩টি পশু বেশি প্রস্তুত করছে বিক্রির জন্য।
এদিকে এ বছর ঈদুল আজহায় নওগাঁয় প্রায় ৩ লাখ গবাদি পশু কোরবানির জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর। সেই হিসেবে এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বাড়তি ৮০ হাজার কোরবানি যোগ্য গবাদি পশু বেশি রয়েছে।
নওগাঁ জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নওগাঁয় কোরবানি যোগ্য মোট গবাদি পশুর সংখ্যা ৩ লাখ ৮০ হাজার ৪১৫টি। এর মধ্যে ১ লাখ ৪২ হাজার ৯৮২টি গরু-মহিষ এবং ১ লাখ ১৫ হাজার ছাগল-ভেড়া রয়েছে।
জেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: হেলাল উদ্দিন খাঁন জানান, প্রাকৃতিকভাবে গবাদি পশু মোটাতাজাকরণের জন্য নওগাঁয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ জেলায় মোট খামারি ৩১ হাজার ৩৪০ জন। এছাড়া কোরবানির পশুর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রাণি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার না করার জন্য খামারিদের সচেতন করা হয়েছে এবং হচ্ছে। ঈদের আগে হয়তো বা জেলার ২৮টি কোরবানীর হাট স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দিবে সরকার। এছাড়াও খামারীদের গবাদীপশু দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর জন্য প্রাণি সম্পদ বিভাগ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
জেলার মান্নান দুলু মিয়া বেল্লাল হোসেন, আমজাদ আলীসহ একাধিক খামারি জানান, আসন্ন ঈদুল আজহা সামনে রেখে কোরবানির পশু পালনকারী বড়-ছোট সব খামারি এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রত্যেক খামারি তাদের প্রিয় পশুটি সর্বোচ্চ দামে বিক্রি করতে শেষ বেলায় পশুর পরিচর্যায় বস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে চলমান লকডাউনের কারনে সকল পশুর হাট বন্ধ থাকায় চিন্তিত তারা। পশুর হাট খোলা না হলে লোকসানের মুখে তাদের পড়তে হবে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানান খামারিরা
Leave a Reply